উখিয়ার চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যা মামলার আসামী র‍্যাবের জালে!

ফারুক আহমদ •

উখিয়া চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ আলমগীর প্রকাশ রুবেল (২৫) হত্যাকান্ডের আসামী ২ বছর আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে র‌্যাবের জালে আটকা পড়েছে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী খোরশেদ আলম।

গত রবিবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতয়ালী থানাধীন আশকার দীঘির পাড় এলাকায় র‌্যাব-১৫, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকশ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের মধ্যম সিকদার বিল গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম পক্রিয়াধীন।
র‍্যাবে অভিযানে হত্যাকাণ্ড অন্যতম আসামি খোরশেদ আটক হওয়ার খবর শুনে নিহতের পরিবারের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে।

জানা যায়, রাজাপালং ইউপির দুই নম্বর ওয়ার্ডের খালকাচা গ্রামের ফজল করিমের পুত্র মোহাম্মদ আলমগীর প্রকাশ রুবেলকে প্রেম সংক্রান্ত ঘটনার জেরে ধৃত আসামী অপরাপর আসামীদের সহায়তায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার পরিকল্পনা নেন। বিগত ৪ এপ্রিল ২০২০ সালে বিকেলে নিজ টেইলারিং দোকানে কাজ করা অবস্থায় ধারালো ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে রুবেলকে। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে উখিয়া থানার মামলা দায়ের করেন। নং-১২; তারিখঃ ০৬/০৫/২০২০ খ্রিঃ; ধারা-৩০২/৩৪ পেনালকোড দায়ের করেন।
এতে আসামি করা হয় একই ইউনিয়নের মধ্যম সিকদার বিল গ্রামের আবুল হাশেমের পুত্র নুরুল ইসলাম, মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র আব্দুল আলিম ও খোরশেদ আলম। পরবর্তীতে থানা পুলিশ তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাইয়া এজাহারনামীয় ৩ জন আসামীর বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দায়ের করেন। এজাহারের ১নং আসামী নুরুল ইসলাম বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও ২নং ও ৩নং আসামী ২বছর যাবৎ পলাতক ছিলো।

CHECK THIS OUT
Mgid
Mgid

চিকন হতে চান? এটি ব্যাবহার করুন ২ সপ্তাহে ২৭ কেজি হারানোর জন্য
Green Coffee
উল্লেখ্য যে, ধৃত খোরশেদ আলম এই ২বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ালেও অপরাধ থেকে বিরত থাকেনি। এই দুই বছরে স্থানীয় রাজাপালং ইউপির এক তরুণীকে ফুসলাইয়া অপহরণ করে চট্টগ্রামের এক আবাসিক হোটেলে ৭ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে উক্ত আসামী। পরে ঐ মেয়েকে হোটেলে রেখে পালিয়ে যায় এই আসামী। এ সংক্রান্তে বিজ্ঞ আদালতে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে অপহরণসহ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলারও গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী ধৃত খোরশেদ আলম।

এবিষয়ে নিহত ভিকটিম রুবেলের বড় ভাই সোনা আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান যে, আলহামদুলিল্লাহ, আমার ভাইয়ের হত্যাকারীকে র‍্যাব আইনের আওতায় এনেছে। এতে আমি সহ আমার পুরো পরিবার র‍্যাবের নিকট কৃতজ্ঞ।এ জন্য র‌্যাব-১৫ এর হোয়াইক্যং ক্যাম্পকে ধন্যবাদ জানাই।

এবিষয়ে র‌্যাব-১৫, হোয়াইক্যং ক্যাম্প, টেকনাফ, কক্সবাজার এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান জানান যে, অপরাধী যে ই হোক কিংবা যেখানেই থাকুক, আমরা অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে কোন ছাড় দিবো না। আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।